স্বদেশ ডেস্ক: মাথা ভরতি সিঁদুর পরে অষ্টমীতে স্বামীর সঙ্গে সুরুচি সংঘে অঞ্জলি দিয়েছিলেন অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহান। তারপর থেকে নুসরতকে নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। আরও একবার মৌলবাদীদের কটাক্ষের শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী। তবে এই পরিস্থিতিতে নুসরতের পাশে দাঁঙালেন তসলিমা নাসরিন। মুসলমান বলে কেন বারবার মৌলবাদীদের রোষানলের শিকার হতে হবে বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদকে, সেই প্রশ্নও তোলেন লেখিকা।
জন্মসূত্রে তিনি মুসলমান পরিবারের সন্তান। তবে তা সত্ত্বেও মন দেওয়া নেওয়া হয় হিন্দু ছেলের সঙ্গে। প্রেমের পর সামাজিকভাবে সম্পর্ক স্বীকৃতিও পায় নুসরত-নিখিলের। সদ্য বিজয়ী সাংসদ এরপর একমাথা সিঁদুর পরে দিল্লিতে সংসদে গিয়ে শপথও নেন।ৎ তারপর থেকেই বিতর্ক যেন পিছু ছাঙছে না নুসরতের। মুসলমান পরিবারের মেয়ে হয়ে মাথায় সিঁদুর পরায় মৌলবাদীদের কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাঁকে। এরপর রথযাত্রায় রথের রশি টেনেও সমালোচিত হয়েছেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ। তবে এসব ফতোয়ায় কখনও পাত্তা দেননি তিনি। তাই বিয়ের পর প্রথমবার স্বামী নিখিলকে সঙ্গে নিয়ে সুরুচি সংঘের মন্ডপে হাজির হন নুসরত। একজন হিন্দু পরিবারের মেয়ের মতোই রীতিমতো উপোস করে অঞ্জলিও দেন তিনি। এরপর ঢাকও বাজান।
অষ্টমীর পর থেকে আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নুসরত জাহান। মৌলবীদের দাবি, আল্লা ছাঙা কারও কাছে প্রার্থনা করাই অনুচিত। তা সত্ত্বেও মহাষ্টমীতে অঞ্জলি দেওয়া মানে ইসলামের বদনাম করছেন নুসরত। আর সেইসব মন্তব্যেরই পালটা হিসাবে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন তসলিমা নাসরিন। তবে নুসরতকে সমর্থন করতে গিয়ে কেন মমতাকে উদাহরণ হিসাবে বেছে নিলেন তসলিমা। তিনি টুইট করেন,”যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন অ-মুসলিম হয়ে অন্যান্য মুসলিমদের মতো হিজাব পরেন ও আল্লার কাছে প্রার্থনা করেন তখন ইমামরা তাঁকে বলে নিরপেক্ষ। আর নুসরত জাহান যখন অ-হিন্দু হয়ে অন্যান্য হিন্দুদের মতো মন্ডপে গিয়ে প্রার্থনা করেন, তখন তাঁকে ইমামরা বলেন অ-মুসলিম।” তবে অষ্টমীতে অঞ্জলি নিয়ে বিতর্কের মাঝে নীরব নুসরত জাহান। এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়াই দেননি তিনি।